1. news@esomoy.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. admin@esomoy.com : admin :
সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন

নড়াইলে অসহ্য এই তাপদাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে ইসতিসকার নামাজে কাঁদলেন মুসল্লিরা 

মৌসুমী নিলু 
ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট

নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: দেশের মানুষ, গাছপালা, ফল- ফসল, পশু- পাখি, কীটপতঙ্গ কঠিন এই তাপদাহ থেকে পরিত্রান পেতে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন লোহাগড়ার ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও জনসাধারণ।

সারাদেশের মতো গত কয়েকদিন ধরে গ্রীষ্মের দাবদাহে অতীষ্ট নড়াইল জেলার মানুষের জনজীবন। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন হাজারো মুসল্লি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা মাদরাসার মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয়রা জানান, নানা বয়সী মানুষ নামাজের জন্য মাঠে হাজির হন। নামাজের ইমাম প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশে বয়ান পেশ করেন এবং নামাজের নিয়মকানুন বলেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। নামাজের পর খুতবা শেষে দুই হাত তুলে প্রচণ্ড গরম, তীব্র তাপপ্রবাহ ও খরা থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করেন তারা।

নামাজ দুই শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। নামাজের পর আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টির প্রার্থনা করে এবং অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন লক্ষীপাশা মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুফতি মিরাজুল হক খান।

তিনি বলেন, কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। সে জন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।

এ সময় লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের প্রায় শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি নামাজে অংশগ্রহণ করেন। তখন আল্লাহর কাছে এক পশলা বৃষ্টি চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।

হু/ক

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
All rights reserved © 2019
Design By Raytahost