ঢাকা | বঙ্গাব্দ

যশোর-৪: আলোচনায় জামায়াতের অধ্যা: গোলাম রসুল, বিএনপির টি এস আইউব ও ফারাজী মতিয়ার।

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jul 15, 2025 ইং
যশোর-৪: আলোচনায় জামায়াতের অধ্যা: গোলাম রসুল, বিএনপির টি এস আইউব ও ফারাজী মতিয়ার। ছবির ক্যাপশন: যশোর-৪: অধ্যা: গোলাম রসুল, টি এস আইউব ও ফারাজী মতিয়ার।
ad728
যশোর-৪: আলোচনায় জামায়াতের অধ্যা: গোলাম রসুল, বিএনপির টি এস আইউব ও ফারাজী মতিয়ার। 

মালিকুজ্জামান কাকাঃ 

যশোর ৪ আসন এলাকায় ব্যাপক গণ সংযোগ করছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা প্রকৌশলী টিএস আইয়ুব। 
তার সাথে মাঠে রয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী শ্রমিকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাতি ফারাজী মতিয়ার রহমান। 
জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী হিসাবে মাঠে রয়েছেন যশোর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসূল। 

যশোর -৪ বাঘারপাড়া-অভয়নগর আসনের কথা হচ্ছে। 
এখানে বিএনপি'র মনোনয়ন প্রত্যাশী আরেকজন নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ। সাংগঠনিক দক্ষতায় এখানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাজিমাত করার ছকে জামায়াত।

যশোর-৪ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি যশোর জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ৮৮নং আসন। 

বিএনপির চার জন এম পি মনোনয়ন চাইছেন। এরা হলেন-বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্মসম্পাদক প্রকৌশলী টিএস আইয়ুব, অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান, বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র আবদুল হাই মনা, জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসাবে মাঠে সরব যশোর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসূল। 

এছাড়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের আইনবিষয়ক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জহুরুল হক জহির, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির (বিএমজেপি) সভাপতি সুকৃতি কুমার মন্ডল, ইসলামী আন্দোলনের অ্যাডভোকেট বায়েজিদ হোসেন ও অধ্যক্ষ নাজমুল হুদা এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা মাসুম বিল্লাহর নাম শোনা যাচ্ছে।

যশোরের অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলা এবং সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে যশোর-৪ আসন গঠিত। দুটি উপজেলা, দুটি পৌরসভা এবং ১৮ ইউনিয়নের এই আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৮৪০ জন। পুরুষ ভোটার: ২,১৬,৮০০ জন এবং নারী ভোটার: ২,১৭,০৩৬ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার: ৪। 

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ আসনে ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের শাহ হাদিউজ্জামান, ১৯৭৯ সালে বিএনপির নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, ১৯৮৬ সালে শাহ হাদিউজ্জামান, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, ১৯৯১ সালে শাহ হাদিউজ্জামান, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির নজরুল ইসলাম, ১৯৯৬ সালে শাহ হাদিউজ্জামান এবং ২০০১ সালে চারদলীয় জোটের জাপার (নাফি) এমএম আমিন উদ্দিন বিজয়ী হন। এরপর ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে টানা চারবার আওয়ামী লীগের রণজিত কুমার রায় নির্বাচিত হন।

এবার আসনটিতে বিএনপির অন্যতম প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী টিএস আইয়ুব। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি মাত্র ৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে নৌকার কাছে হেরে যান। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি ধানের শীষের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। সেই নির্বাচনেও পরাজিত হন। এবারও তিনি সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে জোরেশোরে প্রচারণায়। তার বিকল্প হিসাবে ভোটের মাঠে সরব আছেন অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফারাজি মতিয়ার রহমান, বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল হাই মনা এবং যুবদল নেতা অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী।

এ বিষয়ে প্রকৌশলী টিএস আইয়ুব মিডিয়া কে জানান, গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ছিলাম। আমার নামে ৩৪টি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা হয়েছে। অন্তত আটবার কারাবরণ করেছি। দল ত্যাগী ও নিবেদিতদের মূল্যায়ন করবে বলে আশাবাদী। 
তিনি বলেন, দুঃসময়ে যাদের দেখা যায়নি, তাদের অনেকে এখন অতিথি পাখির মতো দলের মনোনয়ন পেতে চায়। এদের বিষয়ে তৃণমূল সতর্ক আছে।

ফারাজী মতিয়ার রহমান বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় প্রার্থী হিসাবে দলের মনোনয়ন পেয়েছিলাম। আশা করি এবার দলের মনোনয়ন পাব। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে মাঠে আছি। সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করছি। বিগত সরকারের আমলে আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ছিলাম। ২৭টি মামলার আসামি হয়েছি। কয়েকবার কারাবরণ করেছি।

অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ বলেন, ঋণখেলাপি, দুর্নীতির অভিযোগ আছে-এমন কাউকে দল মনোনয়ন দেবে না বলে জানি। সেক্ষেত্রে ক্লিন ইমেজের তরুণ ও ত্যাগী নেতারা মনোনয়ন পাবেন। আমি ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ছিলাম। জেল, জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এলাকার মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। আমি মনোনয়ন পেতে আশাবাদী।

জেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, এ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসূল প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি নিয়মিত এলাকায় নানা কর্মসূচি পালন করছেন। দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে আমরা কর্মসূচি পালন করতে না পারলেও অভ্যন্তরীণ কাজ করেছি। জনগণের সঙ্গে আমাদের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আমরা জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। সাংগঠনিক দক্ষতায় এখানে বিজয়ী হতে আমরা আশাবাদী। এজন্য নিরলস পরিশ্রম করছে দলের সকল নেতা কর্মী। 

এসময়/ 

নিউজটি পোস্ট করেছেন : মোঃ মনিরুজ্জামান

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
কিশোরগঞ্জ ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন ইউএসএ”র সাতাশতম বার্ষিক চড়

কিশোরগঞ্জ ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন ইউএসএ”র সাতাশতম বার্ষিক চড়