ঢাকা | বঙ্গাব্দ

পাঁচবিবিতে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুকুরপাড় দিয়ে চলাচল করছে স্কুলের শিক্ষার্থী ও পথচারীরা।

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jul 1, 2025 ইং
পাঁচবিবিতে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুকুরপাড় দিয়ে চলাচল করছে স্কুলের শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। ছবির ক্যাপশন: পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পাঁচবিবির বেলপুকুরের রাস্তার বেহাল দশা।
ad728

পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তায় কাদা; পাঁচবিবিতে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুকুরপাড় দিয়ে চলাচল করছে স্কুলের শিক্ষার্থী ও পথচারীরা।  
মোস্তাকিন হোসেন,পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
পুকুরের পাড় বাঁধার কারণে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পুকুরের ধার ঘেঁষে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বৃষ্টি হলে এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতে পারিনা। আবার অনেক সময় বৃষ্টি হলে পুকুরের ধার ঘেঁষে পার হতে গিয়ে পাঁ পিছলে অনেক শিক্ষার্থী বই ও বাইসাইকেলসহ পুকুরে পড়ে যায়। এতে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যাওয়া আসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরা । জনদুর্ভোগ ও বিড়ম্বনার অবসান ঘটাতে রাস্তাটি পাকা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা  গ্রহনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বেলপুকুর গ্রামের একটি পুকুর জনৈক ব্যক্তি লিজ নিয়ে মাছ চাষাবাদ করেছে। রাস্তাটি সামান্য কাদা হলেও এবারে নতুনভাবে খনন করে পুকুরের পাড় বাধাই করার কারণে রাস্তাটির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। একটু বৃষ্টিতে কাদা জমে মঠপাড়া, বেলপুকুর ও বৃদ্ধিগ্রামের শিক্ষার্থীদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে করে স্থানীয় বাসিন্দা ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি দেখে মনে হয় হাল চাষ করার জমি। কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলে এলাকাবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ শিশু শিক্ষার্থী ও পথচারী চলাচলে দুর্ভোগের শেষ নেই। 

গ্রামবাসীরা বলেন, বেলপুকুর গ্রামে বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটিতে সামান্য কাদা হলেও এবারে নতুনভাবে পুকুরটির পাড় বাধায় করার কারণে এবারে হাটু পর্যন্ত কাদা হচ্ছে। বর্তমানে রাস্তাটি যে দিক দিয়ে আছে সেটি মালিকানা জায়গায় অধেক রয়েছে। আর পুকুরের পাড়টিই মুলত রাস্তা। পুকুরটির কারণে প্রতিবছর রাস্তাটি ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে মালিকানা জায়গায় এসে পৌছেছ। পুকুরের পাড়টি বাধার সময় বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার কথা বললে তারা বলেন,পুকুরে পানি নামতে দিবো না। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ায় পুকুরের পাড়ের দক্ষিণ পাশ রাস্তাটি হাটু পর্যন্ত কাদা হয়েছে। এতে করে পুকুরের পাড়ের উপর দিয়ে চলাচল করলেও একটু বৃষ্টি হলে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা বই-বাইসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় পাঁ পিছলে দুঘটনার শিকার হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানান স্থানীয়রা। 

উচাই জেরকা সিং আদিবাসী এস সি উচ্চবিদ্যালয়, উচাই বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এন্ড কলেজ ও পাথরঘাটা মিশন স্কুলের  শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের স্কুলে যাওয়া আসার একমাত্র সহজ ও কাছে হওয়ায় বেলপুকুরের রাস্তাটি ব্যবহার কওে থাকি। বেলপুকুর গ্রামে রাস্তা পাশ ঘেঁষা একটি পুকুর আছে পুকুরটি এবার খনন করায় রাস্তাটিতে হাটু পর্যন্ত কাদা হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলে এই কাদাযুক্ত রাস্তা দিয়ে আমাদের স্কুলে যাওয়া আসা খুব কষ্ট হয়। আমরা সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় যদি বৃষ্টি হয়। তাহলে অনেক সময় পা পিছলে কাদায় পড়ে যাই।  কিন্ত স্কুল থেকে ফিরার সময় বৃষ্টি হলে পুকুরের ধার ঘেঁষে জীবনের ঝুকি নিয়ে আমাদের পার হতে হয়। কয়েক দিন আগে বিকেলে বৃষ্টি হয়েছিল। স্কুল থেকে ফিরার পথে আমাদের এক সহপাঠি পা পিছলে পুকুরে পড়ে যায়। পরে এখানকার লোকজন এসে তাকে তুলে দেয়। বেলপুকুরের এই জায়গার রাস্তা ভালো করে দিলে আমাদের চলাচল সুবিধা হতো। আমরা উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি দ্রুত বেলপুকুর গ্রামের এই রাস্তাটি সংস্কার বা পাকাকরণ করে দেওয়ার জন্য।  

বেলপুকুর আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দা চুন্ডা টুডু বলেন,বেলপুকুর গ্রামের রাস্তার এমন বেহাল দশা যে এবার বর্ষা মৌসুমে আমরা ভয়ে ঘর থেকে বাহির হতে পারিনা। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না কয়েক দিন আগে টানা বৃষ্টি হয়েছে। আর বৃষ্টিতে বেশি সমস্য হচ্ছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের। কয়েক দিন আগে পশ্চিম মঠপাড়ার বিনয়ের ছেলে রনক কোচিং করে বাড়ি ফিরছিলেন। পুকুর পাড়ের উপর দিয়ে পার হওয়ার সময় ছেলেটি বই-সাইকেল নিয়ে পিছলে পুকুরে পড়ে যায়। আমি আর একজন দৌড়ে এসে তাড়াতাড়ি করে ছেলেটিকে তুলে দিলাম। আমরা যদি না থাকতাম তাহলে ছেলেটি পুকুরের পানিতে ডুবে যেতো। এতে করে ওই শিক্ষার্থীর প্রাণ হানির ঘটনা ঘটতো। 

এবিষয়ে পাঁচবিবি উপজেলার ৭ নং কুসুম্বা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) শফিকুল ইসলাম বাবু বলেন,বর্তমানে কোন প্রকল্প নেই। জুলাই মাসে প্রকল্প আসলে ওই জায়গাটি হিয়ারিং করে দেওয়া হবে।

এসময়/ 

নিউজটি পোস্ট করেছেন : মোঃ মনিরুজ্জামান

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে জানলেন তিনি ‘মৃত’

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে জানলেন তিনি ‘মৃত’