সকল মামলার অবসান ঘটিয়ে একসাথে জীবন গড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন হিরো আলম।
স্টাফ রিপোর্টার, মোঃ শাহজাহান বাশার:
দেশজুড়ে আলোচিত এবং বহুল সমালোচিত ইউটিউবার, অভিনেতা ও রাজনীতিক আশরাফুল আলম সাঈদ, যিনি ‘হিরো আলম’ নামে সুপরিচিত, অবশেষে দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিরোধের অবসান ঘটিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে একসঙ্গে জীবন গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিরো আলমের পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান খান।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সামনে অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান খান বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে চলমান একাধিক পারিবারিক ও ব্যক্তিগত মামলার বিষয়গুলো আমরা পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েছিলাম। অবশেষে সকল পক্ষের সম্মতিতে মামলা প্রত্যাহার এবং পুনরায় সংসার শুরু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এটি একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত।”
জানা যায়, হিরো আলমের বিরুদ্ধে অতীতে তার স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল, যেগুলোর মধ্যে পারিবারিক সহিংসতা, মানহানি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত অভিযোগও ছিল। তবে বেশ কয়েকমাস ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা চলছিল এবং শেষ পর্যন্ত সবাই শান্তিপূর্ণ সমঝোতায় পৌঁছান।
হিরো আলম সংবাদমাধ্যমের কাছে তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, “জীবনে অনেক ঝড় এসেছে। কিন্তু পরিবারই শেষ আশ্রয়। আমি আমার সন্তানদের মুখ চেয়ে সব ভুলে নতুন করে শুরু করতে চাই। সবার কাছে দোয়া চাই।”
উল্লেখ্য, হিরো আলম শুধু অভিনয় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেই থেমে থাকেননি, রাজনীতির ময়দানেও একাধিকবার আলোচিত হয়েছেন। তিনি নানা সময় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন এবং দেশের তরুণ প্রজন্মের একটি অংশের মাঝে আলোড়ন তুলেছেন।
এদিকে আইনজীবী অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান খান বলেন, “পারিবারিক একতা রক্ষার্থে এবং সন্তানদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভবিষ্যতে সমাজে সমাধানমূলক আলোচনার উদাহরণ হয়ে থাকবে।”
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ হিরো আলমের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেও কেউ কেউ এটিকে নাটকীয় পুনরাবৃত্তি হিসেবে দেখছেন।
তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে, আদালত প্রাঙ্গণেই একটি সম্পর্কের নতুন যাত্রার যে ঘোষণা এলো, তা নিঃসন্দেহে মানবিকতার এবং সামাজিক মূল্যবোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
এসময়/