পাঁচবিবিতে নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন।
পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার ন্যায় বিচার, এসআই হেলাল উদ্দিনের হুমকি এবং স্বাক্ষীর কাছে বিশ হাজার টাকা দাবি করায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার পাঁচবিবি পৌর প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ধরঞ্জী ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের জোসনা বেগম একথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জোসনা বেগম বলেন, গত ২ আগস্ট শনিবার দুপুর ১ টা দিকে আমার নাতনী বাকপ্রতিবন্ধী (৭ বছর বয়সী) বাড়িতে খেলাধুলা করার সময় তাজপুর গ্রামের মৃত নছির উদ্দিন এর ছেলে আলতাফ হোসেন (৪০) আমার নাতনীকে পাশর্^বর্তী জাহাঙ্গীরের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মুখে হাত দিয়ে চেপে ধরে পরনের প্যান্ট খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমার নাতনীকে বাড়ির আশেপাশে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি করার একপর্যায়ে পরিত্যক্ত বাড়িতে গিয়ে আমার নাতনীর এমন দৃশ্য দেখে চিৎকার করলে আসামী আলতাফ হোসেন দৌড়ে এসে আমাকে সজোরে ধাঁক্কা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এসময় একই এলাকার আনতাজ আলী ও মোকলেছারসহ অনেকে এগিয়ে আসে।
পরে আসামী আলতাফ হোসেন আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তোকে ও তোর নাতনীকে পরবর্তীতে দেখে নিবো এবং বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটাবো মর্মে হুমকি প্রদান করে।
আমি নিরুপায় হয়ে গত ০৬/০৮/২০২৫ ইং তারিখে পাঁচবিবি থানায় আলতাফ হোসেনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করি। যাহার মামলা নং-৩৫/২০২৫।
মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান পাঁচবিবি থানার এসআই হেলাল উদ্দিন, বিপি ৭৮৯৮০৬৫৩৯৮। মামলাটির দায়িত্ব নেওয়ার পর এসআই হেলাল আমাকে বলেন, পাঁচ হাজার টাকা দিলে মামলাটির জটিলতাসহ আসামীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দিবো।
এসআই হেলাল এর কথা মতে আমি পাঁচ হাজার টাকা দিলে তিনি বলেন, আদালত থেকে একটি নোটিশ আসলে তোমাদের পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিবো।
কিন্ত পরবর্তীতে জানতে পারি এসআই হেলাল উদ্দিনের যোগসাজসে আসামীকে আদালত থেকে জামিনের সহযোগিতা করেন। আসামী আলতাফ হোসেন জামিনে এসে আমাকে পুনরায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার ২ নং স্বাক্ষী আনতাজ আলী বলেন, গত ১৯ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১ টায় কড়িয়া বাজারের রাস্তায় এসআই হেলাল উদ্দিনকে দেখতে পেয়ে আমি মামলা সংক্রান্ত বিষয়টি জানতে চাইলে এসআই হেলাল উগ্র মেজাজে বলেন,বেটা তোর নাম কি? তুই এই মিথ্যা মামলার স্বাক্ষী তাই না।
এই বলে আমাকে কড়িয়া বাজারের হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে তুলে নিয়ে যাবে মর্মে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। আমি যেতে চাইলে এসআই চোখ রাঙিয়ে বলেন, বেটা তোকে এক ধাপ সরতে দিবো না, তুই মিথ্যা মামলার স্বাক্ষী হয়েছিস যদি বাঁচতে চাস তাহলে ২০,০০০ (বিশ হাজার) টাকা দিতে হবে, না হলে তোকে ধরে চালান দিবো।
এসময় আমার সাথে এমন আচরণ করলে স্থানীয় মো মিঠু ও আনোয়ারসহ কড়িয়া বাজারের লোকজন এগিয়ে এলে এসআই হেলাল উদ্দিন বলেন,বেটা তোকে দেখে নিবো বলে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। যেকোন সময় আমাকে এসআই হেলাল মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দিতে পারে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীতায় ভুগছি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার সুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুঠু তদন্তসাপেক্ষে ন্যায় বিচার ও এসআই হেলাল উদ্দিনের বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।