যশোর রেলগেট পশ্চিম পাড়া নূর উদ্দীনের জমি জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে মামলা।
বিশেষ প্রতিবেদকঃ
যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিম পাড়ায় নালিশি সেই জমিতে জবর দখল কারীদের বিরুদ্ধে এলইএসটি মামলা হয়েছে।
ভুক্তভুগি জমি মালিকরা নানা নাজেহালে বিপর্যস্ত। তারা বাধ্য হয়ে বিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাই বুনাল আদালত যশোরে মামলা করেছেন। এই মামলার বাদি মৃত বাটা ম্যানেজার নূর উদ্দীনের ছেলে সালাউদ্দিন টিঙ্কু ও মেয়ে পারভীন সুলতানা রুবা। মামলা নম্বর এস টি ৪৭/২৫।
মামলার বিবাদীরা হচ্ছে, মৃত ওয়ালী মোহাম্মদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, ছেলে লাল বাবু, সালাম, ইসলাম, মেয়ে মুন্নী, গুলশানারা, রোজিনা সহ ১২ জন।
জমির অবস্থান ৭৭নং চাঁচড়া মৌজার এসএ ৬৬৭ খতিয়ানে ১৯২৭ সালে চারটি এবং ১৯৬২ সালে ১০টি দাগ এর ২২ শতক জমি। যা সাবেক বাটা ম্যানেজার নূর উদ্দীন ১৯৮২ সালে এই জমি ক্রয় করেন। বিক্রেতা নার্গিস আখতার। ঢাকা বংশালে বাড়ি ছিল নার্গিস আখতারের। নূর উদ্দীনের বাড়ি ছিল কেরানিগঞ্জ জিঞ্জিরায়। একই এলাকায় বাড়ি হওয়ায় পরিচয় সূত্র ধরে জমিটি কেনা বেচা হয়।
জমি কেনার পর পর ভাড়াটিয়া হিসাবে ওঠে অলি মিয়া ও তার সন্তান ছেলে মেয়ে বউ আনোয়ারা। সমন্বয় করে দেন রেলগেটের সমাজসেবী মজিদ খান। ১৯৮৩ সালে বাটা ম্যানেজার মারা যান। এর পর রাতারাতি জমিও বাড়িটি দখল করে বাড়ি মালিক বাটা ম্যানেজারের বউ ছেলে মেয়েদের খুনের হুমকি ধামকি দিয়ে যশোর ছাড়া করেন।
প্রয়াত বাটা ম্যানেজারের মেয়ে পারভীন সুলতানা রুবা ২০১৬ সালে লাল বাবু দিঙের বিরুদ্ধে মামলা করেন। যার নম্বর ২৭১/১৬। আদালত কমিশন বোর্ড গঠন করে জমিটির সরেজমিন তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর।
এর মধ্যে সাতটি জাল রেকর্ড করেন জমি জবর দখল কারীরা। পরবর্তীতে এডিসি (রাজস্ব) তা সত্য নয় মর্মে বাতিল করেন। এতে জমির সত্য প্রতিষ্ঠ হয়।
রাজধানী ঢাকা থেকে যাতায়াত সমস্যা বিধায় জমির ওয়ারেশ মালিকরা মৃত সেকেন্দার আলী শেখের ছেলে আব্দুর রাজ্জাককে জমির পাওয়ার দেন।
জমি হাত ছাড়া হতে পারে এই আতঙ্কে জবর দখল কারীরা পাওয়ার গ্রহীতা আব্দুর রাজ্জাক কে ২০১৫ সালে হত্যার জোর চেস্টা চালায়। যে মামলাটি এখনো চলমান। নম্বর সি আর ৬২৯/১৫। এর বাইরে আব্দুর রাজ্জাক ও জমির ওয়ারেশ মালিক ২০২৫ সালের ১০ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত ৩৫টি মামলার আসামি হয়েছেন।
জমি মালিক পক্ষ মামলার সুষ্ঠ রায় ও বিজয়ে আশাবাদী। আর এটা বুঝতে পেরে হিংসায় জ্বলে পুড়ে চরম প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে পড়েছে জবর দখলকারী আনোয়ারা ও তার ছেলে মেয়েরা। ফলে উত্তপ্ত এখন পরিস্থিতি।
এসময়/