ঢাকা | বঙ্গাব্দ

উঁচু মঞ্চের মানুষ আর জনমানুষের হাহাকার

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Aug 19, 2025 ইং
উঁচু মঞ্চের মানুষ আর জনমানুষের হাহাকার ছবির ক্যাপশন: উঁচু মঞ্চের মানুষ আর জনমানুষের হাহাকার
ad728
মোঃ শাহজাহান বাশার ,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার 

উঁচু মঞ্চে দাঁড়ানো ছাড়া যেন আজ কারও কথা শোনার সুযোগ নেই। যাদের হাতে মাইক্রোফোন, যাদের জন্য সাজানো হয় রাজকীয় আসন—তারাই কেবল মানুষের সামনে বক্তব্য রাখার সুযোগ পায়। অথচ সেই উঁচু মঞ্চের মানুষগুলো অন্তর থেকে সাধারণ মানুষের কথা ভাবে না। তাদের চিন্তায় থাকে নিজস্ব স্বার্থ, নিজেদের অবস্থান, অর্থনৈতিক উন্নতি ও পারিবারিক সামাজিক মর্যাদা।

সমাজে একটি অদ্ভুত প্রবণতা গড়ে উঠেছে—যাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো, যারা সমাজে কিছুটা উচ্চপদে রয়েছে, তাদের প্রতিই শ্রদ্ধাবোধ দেখানো হয়। সুশীল সমাজও সেই শ্রদ্ধাবোধকে এক ধরনের সামাজিক নিয়মে রূপ দিয়েছে। ফলে, সাধারণ মানুষের কথা আর তেমন গুরুত্ব পায় না। বরং উঁচু মঞ্চের মানুষ তার চারপাশের সম্মান, স্যার সম্বোধন, এবং বিভিন্ন মহলের পদ-পদবি নিয়েই ব্যস্ত থাকে।

ক্ষমতা, পদমর্যাদা আর অর্থ যখন একসঙ্গে জড়িয়ে যায়, তখন সেই মানুষ সহজেই অন্ধ হয়ে পড়ে। জনগণের স্বার্থ কিংবা তাদের রক্ত-ঘামের অর্থ লুণ্ঠন করতে একটুও দ্বিধা করে না। নিজেদের ক্ষমতার মোহে আচ্ছন্ন হয়ে তারা ভুলে যায়—যার জন্য এই সমাজ, যার জন্য রাষ্ট্র, সেই জনমানুষের কষ্ট, দুঃখ-বেদনা আর বঞ্চনার কথা।

ফলে সমাজে বৈষম্য বাড়ছে। যারা নিচে পড়ে যাচ্ছে, তাদের কণ্ঠস্বর পৌঁছায় না। আর যারা উঁচু মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকে, তারা শুধু নিজেদের কথাই বলে যায়, নিজেদের স্বার্থেই ব্যস্ত থাকে। এভাবেই চলছে আমাদের সমাজ, এভাবেই চলছে আমাদের পৃথিবী।

কিন্তু প্রশ্ন হলো—আমরা কি কেবল এভাবেই বেঁচে থাকব? সাধারণ মানুষের হাহাকার কি এভাবেই হারিয়ে যাবে উচ্চকণ্ঠের আড়ালে? নাকি সময় এসেছে, সাধারণ মানুষ নিজেরাই নিজের মঞ্চ তৈরি করবে, যেখানে সত্যিকারের কণ্ঠস্বর শোনা যাবে?

নিউজটি পোস্ট করেছেন : মোঃ শাহজাহান বাশার

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শহীদদের স্মরণে তারুণ্যের আইডিয়া প্রতিযোগিতার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে শহীদদের স্মরণে তারুণ্যের আইডিয়া প্রতিযোগিতার