কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম মিয়াবাজার থেকে মাদক ব্যবসায়ীসহ গ্রেফতার ৩।
মোঃ লুৎফুর রহমান রাকিব, স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম মিয়াবাজার থেকে মাদক ব্যবসায়ী ক্রেতাসহ মোট ৩ জনকে আটক করেছে হাইওয়ে থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ১০০গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
২জুলাই ২০২৫ইং, বুধবার রাত আনুমানিক ৯ঃ৫০ টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার চট্টগ্রামমুখী সৈয়দপুর নামক স্থানে প্রকাশ বাবুর্চী বাজারস্থ ভূইয়া হোটেলের সামনে থেকে মাদক বিক্রেতা মোঃ ইউসুফ (২৬), পিতা- মোঃ আবুল কাসেম, সাং- বসুমারা, পোঃ নালঘর, থানা- চৌদ্দগ্রাম, জেলা- কুমিল্লাকে হোটেল পার্কিং এ দন্ডায়মান অবস্থায় ট্রাক নং- ঢাকা মেট্রো -ট- ১৬-০২৯৪ এর চালক মোঃ জামাল হোসেন (২৬), পিতা- আবুল সরকার, সাং- চাইলো গেইট, থানা- সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়নগঞ্জ এবং অপর একটি ট্রাক নং - ঢাকা মেট্রো -ট- ১১-৮০৬৭ এর চালক মোঃ জাহিদ, পিতা- আলী হোসেন, সাং- শিবু মার্কেট, থানা- সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়নগঞ্জকে গাঁজা ক্রয় ও বিক্রয়কালে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামাল আহমেদ ভূইয়াকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে এসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) সারনী ২১ মোতাবেক মাদক বিক্রেতাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও নগদ ১০০০ টাকা জরিমানা এবং মাদক ক্রেতাদ্বয়কে ৩ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও নগদ ৫০০ টাকা করে জরিমানা আরোপ করেন।
এছাড়াও জব্দকৃত ১০০গ্রাম (৫ পুরিয়া) গাজা উপস্থিত জনগন ও সাক্ষীদের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেন।
হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহাব উদ্দিন জানান, পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহনের জন্য আসামীগনকে চৌদ্দগ্রাম বেঙ্গল থানার নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও ভূইয়া হোটেলের মালিক ও অন্যান্য সকল কর্মচারীগণ হোটেলে তালা মেরে পলাতক আছেন। তাদের ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে নজরদারি অব্যাহত আছে।
এর আগে "ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের হোটেল গুলোতে যাত্রা বিরতির অন্ধকার অধ্যায় এবং ভাতের ব্যবসার আড়ালে চলছে রমরমা মদক ব্যবসা" শিরোনামে ৭১ টিভি'র ১টি প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের এডিশনাল ডিআইজি মো: খাইরুল আলম এর নির্দেশনা মোতাবেক সকল হাইওয়ে থানা কর্তৃক হোটেল গুলোর আশপাশের এলাকায় দিবারাত্রি অভিযান জোরদার করা হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী মূলত মালবাহী ট্রাক ড্রাইভাররা এই হোটেল গুলোতে ভাত খায় এবং মাদক নিয়ে মহাসড়কে গাড়ি চালিয়ে থাকে।
মূলতঃ ট্রাক চালকদের টার্গেট করেই গড়ে উঠেছে এই হোটেল গুলো।
এসময়/