ঢাকা | বঙ্গাব্দ

যশোর জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা ইস্কান্দার আলী জনি গ্রেফতার।

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jul 26, 2025 ইং
যশোর জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা ইস্কান্দার আলী জনি গ্রেফতার। ছবির ক্যাপশন: যশোর জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা ইস্কান্দার আলী জনি গ্রেফতার।
ad728
যশোর জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা ইস্কান্দার আলী জনি গ্রেফতার। 
ডেস্ক রিপোর্ট। 
যশোর জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা ইস্কান্দার আলী জনিকে বিতর্কিত অনলাইন কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ২৫ জুলাই ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন দক্ষিণ নামাপাড়া, তালেরটেক এলাকা থেকে ডিবির একটি চৌকস দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ। সাথে ছিলেন এসআই (নিঃ) অলক কুমার (পিপিএম), এএসআই (নিঃ) মোঃ শামসুজ্জামান এবং সঙ্গীয় ফোর্স। অভিযানের সময় জনিকে তার ভাড়া বাসা থেকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ইস্কান্দার আলী জনির বয়স ৪২ বছর। পিতা: মৃত শেখ সিরাজুল ইসলাম, মাতা: মৃত রাশিদা বেগম। বর্তমান ঠিকানা: দক্ষিণ নামাপাড়া, তালেরটেক, থানা–খিলক্ষেত, ডিএমপি ঢাকা। স্থায়ী ঠিকানা: বালিয়াডাঙ্গা, বাবলাতলা, থানা–কোতোয়ালী, জেলা–যশোর।
তথ্যমতে, জনি জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলামের কাছে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না পেয়ে তিনি জেলা বিএনপির সভাপতি সহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করতে থাকেন।
এছাড়া তিনি মিথ্যাভাবে প্রচার করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যশোর সেনানিবাসে অবস্থানকালে তাকে ভারত পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন যুবদলের এক নেতা। এসব অপপ্রচার দেশের নিরাপত্তা, সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি এবং সামাজিক স্থিতি নষ্ট করে।
জনির বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা রুজু হয়েছে: মামলা নম্বর: ১২(১)২৫
ধারা: দণ্ডবিধি ৩৮৫ (চাঁদাবাজি), সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩-এর ধারা ২৫, ২৯ ও ৩১।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, জনি বিগত কয়েক মাস ধরে অনলাইন মাধ্যমে অপপ্রচার ও দলীয় বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক সামাজিক ও আইনগত অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেফতার পরবর্তী সময়ে তাকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানিয়েছে, তার অনলাইন কর্মকাণ্ড এবং আর্থিক লেনদেন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে— বিএনপি কোনো অন্যায়কারী, অপপ্রচারকারী বা দলবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীর প্রতি বিন্দুমাত্র সহনশীলতা দেখায় না।
বিশেষ করে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে একটি কঠোর ও জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
দলীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করাই বিএনপির রাজনৈতিক নীতির এক অবিচল স্তম্ভ—এটি আবারো প্রমাণিত হলো এই ঘটনার মধ্য দিয়ে। 

নিউজটি পোস্ট করেছেন : মসিয়ার রহমান কাজল

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
জিয়া প্রজন্মদলের নেতৃত্বে রাজপথে টানা আন্দোলনের ইতিহাস।

জিয়া প্রজন্মদলের নেতৃত্বে রাজপথে টানা আন্দোলনের ইতিহাস।