মোঃ শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের জনগণকে বারবার প্রতারিত করা হয়েছে। নির্বাচন এলেই স্বার্থান্বেষী মহল দেশপ্রেমের মুখোশ পরে, উলামায়ে কেরামের কাছে যায়, ধার্মিক সাজার ভান করে। তবে ক্ষমতায় আসার পর তারা দুর্নীতি ও লুটপাটে দেশকে বারবার বিশ্বমঞ্চে কলঙ্কিত করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, অতীতে তারা দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছে। তাই জাতিকে এসব মহল থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
আজ রোববার (তারিখ) নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে বেঙ্গল কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত এক উলামা ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে নোয়াখালী উত্তর জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
চরমোনাই পীর তার বক্তব্যে বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হাজারো মায়ের বুক খালি হয়েছে। অসংখ্য মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে আজীবনের অভিশাপ বয়ে বেড়াচ্ছে। হাজারো মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। আমরা আইয়ামে জাহেলিয়াতের মতো সময়ও দেখেছি। এত রক্ত ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজ আমাদের জন্য দেশ গড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না, আগামী প্রজন্ম আমাদের ধিক্কার জানাবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা গর্ব করে বলেছিলেন- হাসিনা পালায় না। অথচ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন এবং বিভিন্ন দেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জনতার রোষে তাকেও পালাতে হয়েছে। নতুন কেউ ক্ষমতায় গিয়ে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করলে তাদেরও একই পরিণতি ভোগ করতে হবে।”
চরমোনাই পীর জোর দিয়ে বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, এ দেশের মূল শক্তি হলো ইসলাম। উলামায়ে কেরাম দেশের স্তম্ভ, ইসলাম দেশের রক্ষাকবচ। তাই আগামীর বাংলাদেশ গঠনে আলেম ও উলামাদের অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। সভাপতিত্ব করেন নোয়াখালী উত্তর জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি হাফেজ নজির আহমদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রবাসী উপকমিটির সদস্য ও নোয়াখালী-১ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ওমান কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সলিম উদ্দিন, নোয়াখালী-৩ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা নুর উদ্দিন আমানতপুরী প্রমুখ।