রূপদিয়া শত কোটি টাকার জমি কব্জায় নিতে নানা অপ তৎপরতায় লিপ্ত ভূমিদস্যু ওহাব গং।
মালিকুজ্জামান কাকাঃ
যশোর খুলনা মহা সড়কের গায়ে রূপদিয়ার গোলাম রসুল ২৮৫ দশমিক ৭১ শতক মূল্যবান জমির মালিক। কিন্ত ভূমিদস্যু আব্দুল ওহাব গং তাকে নানা হয়রানি করছে। তাকে খুন করে পৃথিবী সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করছে ভূমিদস্যুরা। কয়েক শত কোটি টাকা জমির মালিক অথচ গোলাম রসুল থাকেন ফুটপাতে। তবে আশার কথা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ন্যায়ের পক্ষ নেওয়ায় আব্দুল ওহাব ও তার দোসরনরা আপাতত প্রবল চাপে।
এই ঈদের পর জেলা প্রশাসক তার জমির জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন বলে জমির প্রকৃত মালিক গোলাম রসুলকে আস্বস্ত করেছেন। আর এটা জেনে আব্দুল ওহাব ও তার দোসররা নানা ধরণের অপ তৎপরতা চালাচ্ছে।
ভুক্তভুগি গোলাম রসুল যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া বাজারের বাসিন্দা মৃত মোজাহার আলী খলিফার ছোট ছেলে। খুলনা মহা সড়কের সাথে তার এই জমির অবস্থান। ঐ জমির মূল্য এই মুহূর্তে অন্তত শত কোটি টাকা।
জমি জালিয়াত চক্রের হোতা, পালের গোদা আব্দুল ওহাব একই এলাকার হোসেন আলীর ছেলে। তার দোসর হচ্ছে ছেলে সুমন, ফজলে করিমের ছেলে আকবর মোল্লা, ওহাবের ভাইপো মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে জিয়াউল হক, মহিউদ্দিন মগার ছেলে শামীমসহ কয়েক জন।
খান সমিল বললে এলাকার সকলে জমিটি চেনে। বর্তমানে ওহাব গঙ অন লাইন থেকে গোলাম রসুলের নাম প্রিন্ট পর্চা থেকে বাদ দেওয়ার চক্রান্ত করছে। গোলাম রসুল কে হত্যা করার প্ল্যান আছে এই ওহাব গঙের। ২০২৪ সালে খুলনা ফুলতলায় গোলাম রসুল কে খুন করতে যায় ছয় জন। তিনটি মোটর সাইকেলে দুটি রিভালবার সহ কিলাররা ধরা পড়ে থানা পুলিশের কাছে। আব্দুল ওহাব এখনো সেই চক্রান্ত করছে।
সে এর মধ্যে দুই দফা জালিয়lতির কারণে জেল ও খেটেছে। সেই মামলা এখনো চলমান।
জেএল নং ২২২, মৌজা রূপদিয়া, খতিয়ান নং ৯ ও ১১ এর সাবেক দাগ ২৬৫, ২৬৬, ২৬৭, ২৬৪ এ জমির অবস্থান। মোজাহার আলী খলিফা সেখানে ১০ একর জমির মালিক। তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে ঐ জমির মালিক।
গোলাম রসুল বলেন, ঐ জমি আমার পৈতৃক সম্পত্তি। দায়িত্ব প্রাপ্ত সকলেই আমার প্রতি আন্তরিক। তবে ভাল দিক এই, যশোরের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক আমার প্রতি সুদৃষ্টি দিয়েছেন। তিনি জমির সকল খবর রাখছেন। আমার মত গরীবের জন্য এটি বিশেষ কিছু। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
এসময়/