গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পুকুরে বিষ প্রয়োগে ২ লাখ টাকার মাছ নিধন।
গাইবান্ধা থেকে মোঃ আবু জাফর মন্ডলঃ
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লীতে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ২ লাখ টাকার মাছ ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। এব্যাপারে পলাশবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়,পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের তেকানী গ্রামের ছোরাব আলীর ছেলে হাসানুর মিয়া তেকানী মৌজায় বন্দকীয় ১টি ৩০ শতাংশ জমির পুকুরে ৪ মাস পূর্বে বিভিন্ন প্রজাতির রুই, কাতলা, মৃগেল, গ্লাসকাপ, ব্রিগেড, সরপুটি, বাটা, সিলভার কাপ, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছচাষ করিয়া আসছিল।
এমতাবস্থায় বাদী গত ২১ আগস্ট রাত ১০টার সময় পুকুর দেখিয়ে নিজ বাড়ীতে আসে। পরদিন ২২ আগস্ট সকাল ৬ টার সময় পুকুরে মাছের খাবার দিতে গিয়ে দেখতে পায় বাদীর পুকুরে কে বা কাহারা শত্রুতা বশতঃ রাতের আঁধারে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে আনুমানিক ২০ মন মাছ মারিয়া ফেলিয়া
ক্ষতি সাধন করেছে এমন ক্ষমতা সম্পন্ন বিষ প্রয়োগ করেছে যে, সকাল বেলায় মাছ পচে দূর্গন্ধ ছাড়ানো শুরু করে। পরে এলাকাবাসীর পরামর্শে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় মৃত মাছ গুলো মাটিতে গর্ত করে পুঁতে রাখি।পুকুরে বিষ প্রয়োগে বাদীর অনুমানিক ২ লক্ষ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
বিষয়টি নিয়ে বাদীর সন্দেহ হলে তার পরিবারের লোকজনসহ বিবাদী সাকোয়াত হোসেন ছেলে মনিরুল ইসলাম (২৭), বাবর আলীর ছেলে সাকোয়াত হোসেন (৬৫), সমছেল মিয়া (৭০), সমশের আলীর ছেলে দুলাল মিয়া (৪২), ছমছেল আলী (৩০), ছমছেল আলীর ছেলে হামিদুল ইসলাম (৩০) এর সাথে কথাবার্তা বললে তাহারা পুকুরে বিষ প্রয়োগ করিয়েছে মর্মে স্বীকার করে এবং বিবাদীগন আমাকে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করিতে নিষেধ করে।
বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করবে মর্মে বিভিন্ন ভাবে টালবানা শুরু করে। আসলে পরবর্তীতে পলাশবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। বিবাদীগন জানায়, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করিলে আমাকেসহ আমার পরিবারের লোকজনদের পুকুরে যাইতে দিবে না, মারপিট করাসহ জানমালের ক্ষতি করার হুমকী প্রদান করে।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারটি বিচার চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।