জিয়াউর রহমানের অনুকম্পায় দু’একটি ইসলামী দল রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে; রিজভী।
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
"জিয়াউর রহমানের অনুকম্পায় দু’একটি ইসলামী দল রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। এখন আপনারা টার্গেট করছেন বিএনপি ও তারেক রহমানকে। বুক-পিঠ বলে আপনাদের কিছু নেই" মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১টায় কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ১০ শহীদ পরিবারকে ‘আমরা বিএনপি পরিবারে’র পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের অনুকম্পায় দু’একটি ইসলামী দল রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। এখন আপনারা টার্গেট করছেন তারেক রহমান ও বিএনপিকে। বুক-পিঠ বলে আপনাদের কিছু নেই।’
তিনি বলেন, ‘ জিয়াউর রহমান মারা গেলে, এরশাদ বন্দুকের নল দিয়ে গণতন্ত্র হত্যা করল। সেই এরশাদের সঙ্গে কেউ যাবে না বললেও আপনারা চলে গেলেন। কার সঙ্গে? শেখ হাসিনার সঙ্গে। সবসময় সুবিধা খুঁজে বেড়ান, সবসময় ধান্দা খুঁজে বেড়ান। আপনারা চলে গেলেও বিএনপি যায়নি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যাননি। জনগণের কাছে দেওয়া ওয়াদা থেকে খালেদা জিয়া সরে যাননি।’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচারে নামবেন না, তাহলে আপনাদের নিজেদের ওপরেই অনেক কিছু নেমে আসেবে। মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শুধু বহিষ্কার নয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘দেশে অনেক সংকট থাকার পরও ড. ইউনুস সরকারকে আমরা সবাই সমর্থন জানিয়েছি। কেন না এই সরকার শেখ হাসিনার সরকারের মতো বিদেশে অর্থ পাচার করবে না। জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে, জনগণের রায় বুঝে আগামী রমজানের আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি কেন?- এমন প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ‘আমরা ১৬ বছর লড়াই করেছি। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হোক, একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। ১৬ বছর ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে এত গড়িমসি কেন? জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে আগামী রমজানের আগে নির্বাচন দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে কুরিগ্রাম জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব, সাইফুর রহমান রানা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ হওয়া ১০ জনের পরিবারের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।
এসময়/