চিলমারীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দখলের অভিযোগ স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে।
হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে চরাঞ্চলে গৃহহীনদেন জন্য নির্মিত আশ্রয়ণের ব্যারাক হস্তান্তরের আগেই দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি।
গৃহহীন পরিবারের জন্য ব্যারাকের ১টি করে রুম বরাদ্দের কথা ছিল।
কিন্তু স্থানীয় একজন বিএনপি নেতা "ওবাইদুল ইসলাম" ওয়াল ভেঙ্গে ১টি ব্যারাকের মধ্যে ৫টি রুম দখল করাসহ ঘর তুলে জায়গা দখল করে নেন।
এসব ঘটনায় ঐ এলাকায় শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। জানাগেছে, উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনে নিঃস্ব হওয়া গৃহহীনদের জন্য তৈরি "আশ্রয়ণ প্রকল্প-২" এর অধীনে আশ্রয়ণ ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে।
চিলমারী ইউনিয়নের কড়াই বরিশালে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩৫টি ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, প্রায় ৫ বছর আগে নির্মাণ কাজ শেষ করা হলেও অজ্ঞাত কারণে ব্যারাকের ঐ ঘরগুলো এখনো তা হস্তান্তর করা হয়নি।
যে যার ইচ্ছা মত ঘর গুলো ব্যবহার করছেন। ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে ওয়াল ভেঙ্গে একটি ব্যারাকের ৫টি রুমসহ নতুন করে ঘর তৈরি করে, আশ্রয়ণের জায়গাও দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠছে "বিএনপি নেতা ওবাইদুল ইসলামের" বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে দেখা যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এর সত্যতা পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রকল্পটিতে ৩৫টি ব্যারাকে ১৭৫টি পরিবার থাকার জন্য গড়ে তোলা হয়েছিল।
বছরের পর বছর পার হলেও প্রশাসনের পক্ষ হতে এখনো ঐ আশ্রয়ণ প্রকল্পটির ঘর গুলো সুবিধাভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়নি। এর আগেই ঐ বিএনপি নেতা ছাড়াও বেশ কয়েকটি পরিবার ব্যারাক দখল করে পাঁচ পরিবারের পরিবর্তে একাই থাকতেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সাদেক মিয়ার স্ত্রী রোমানা বেগম বলেন, আমাদের থাকার জায়গা নাই। তাই আমরা দুটি ঘর নিয়েছি। মানুষ আসলে একটা ছেড়ে দিবো। ইউপি সদস্য এরশাদুল হক বলেন, এখনো আশ্রয়ণ ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়নি। এর মধ্যে সব দখল করা শেষ।
আর ওবাইদুল যে কাজটা করছে এটা মোটেও উচিত নয় বলে জানান তিনি। আরও বলেন, এভাবে ঘরের দেয়াল ভাঙ্গতে পারেন না।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওবাইদুল ইসলাম বলেন, তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রীর জন্য এই ব্যারাক নিয়েছেন। কক্ষের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলার বিষয়টি ভুল করে হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে চিলমারী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পটি এখনও হস্তান্তর করা হয়নি। এ ছাড়াও কেউ ঘর দখল করে চারদিক ঘেরার সুযোগ নেই।
উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আবু হানিফা বলেন, কেউ অন্যায় করে থাকলে তার শাস্তি অবশ্যই হবে।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।